search here

কেদারনাথ মন্দির এর ইতিহাস / History of Kedarnath Temple( কেদারনাথ ভ্রমণ খরচ )



 হিন্দু ধর্মের পুরান অনুযায়ী । মহাদেব শিব মানুষের ও প্রগতির কল্যাণ এর জন্য ভারত বর্ষের ১২টি জায়গায় জ্যোতির লিঙ্গ রূপে প্রকট হয়েছিলেন।  এই ১২ টি জায়গায় অবস্থিত  শিব লিঙ্গ কে জ্যোতির লিঙ্গ রূপে পূজো করা হয়। যাদের মধ্যে একটি জ্যোতির লিঙ্গ হলো কেদারনাথ মন্দির ।

শুধু তাই নয় কেদারনাথ হলো চার ধাম ও পঞ্চকেদার এর মধ্যে একটি। পঞ্চ কেদার হলো 1) কেদারনাথ 2)রুদ্রনাথ 3) কল্পেশ্বর 4) মধ্যমহেশ্বর 5)তুঙ্গনাথ

কেদারনাথ মন্দির কোথায় অবস্থিত ? / Where is the Kedarnath temple located?

কেদারনাথ মন্দির উত্তরাখণ্ড রাজ্যের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় হিমালয়ের গর্ভে অবস্থিত । এই কেদারনাথ ধামের দরজা ভক্তদের জন্য  ছয় মাসের জন্য খোলে । এবং  এর পর শীতকালে  ভারী বরফ পড়ার কারণে এখানকার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। কেদারনাথ ধামে প্রতি বছর কয়েক লক্ষ ভক্ত আসে  এবং  এই ধামের প্রতি মানুষের অটুট শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস রয়েছে। কেদারনাথ ধাম তিন দিক দিয়ে পর্বত দিয়ে  ঘেরা । একদিকে ২২০০০ ফুট উচ্চ  কেদারনাথ পর্বত , ও অন্য দিকে ৩১৬০০  ফুট উচ্চ খার্চ  কুন্ড  এবং তৃতীয় দিকে আছে ২২০০০ ফুট উচ্চ ভরত কুন্ড ।


এখানে শুধু তিনটে পর্বত নয় সঙ্গে ৫ টি নদীর সঙ্গম মনে করা হয়।  সেগুলি হলো মন্দাকিনী , মধুগঙ্গা , ছীর গঙ্গা , সরস্বতী , স্বর্ণ গঙ্গা , ।  এই মধ্যে কিছু নদী কাল্পনিক মানা হয় , কিন্তু এখানে মন্দাকিনী কে স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়।  মন্দাকিনী নদীর উৎপত্তি স্থল  চোরাবাড়ি গ্লেসিয়ার কুন্ড । মন্দাকিনিরর পাশেই কেদারনাথ মন্দিরের নির্মাণ করা হয়েছিল।  কেদারনাথ মন্দিরের  স্থাপনা নিয়ে অনেকের মতভেদ রয়েছে, কেউ কেউ মনে করে এটি ১০০০ বছরের পুরনো। 

অনেকে বলে পান্ডব রা এই মন্দির টি নির্মাণ করেছিল ।আবার অনেকে বলে এই মন্দিরটি  মালবার রাজা ভোজ  দশই শতাব্দি তে নির্মাণ করেছিলো । আবার প্রচলিত কথা অনুযায়ী আট ই শতাব্দিতে জগৎ গুরু আদি শঙ্কর আচার্য্য এই মন্দির টি নির্মাণ করেছিলো। ৩২ বছরের  আয়ুতে ৮২০ সাল নাগাদ তার মৃত্যু হয় এবং মন্দিরে পেছনে জগৎগুরু আদি শঙ্কর আচার্য্য এর সমাধিও আছে।

কেদারনাথ মন্দির এর কাহিনী / The story of Kedarnath temple

এই কেদারনাথ মন্দির কে নিয়ে দুটো কথা খুব প্রসিদ্ধ ,   প্রথম কাহিনী অনুযায়ী , কেদার পর্বতের  শিকড়ে  ভগবান বিষ্ণুর অবতার নর ও নারায়ণ ঋষি রূপে তপস্যা করেছিলেন । তাদের আরাধনায় খুশি হয়ে ভগবান শিব তাদের দর্শন দিলেন । এবং তাদের প্রার্থনা অনুযায়ী ওই স্থানে জ্যোতির লিঙ্গ রূপে সদা বাস করার জন্য কথা দিলেন।

 দ্বিতীয় কাহিনী অনুযায়ী ,

মহাভারতের যুদ্ধএ জেতার  পর পান্ডব দের  উপর ভাতৃ হত্যার পাপ   লেগেছিলো। সেই জন্য পান্ডব রা  এই পাপ থেকে মুক্ত হতে চেয়েছিলো এবং ভগবান শিবের আশীর্বাদ পেতে চেয়েছিলো। ভগবান শিব পান্ডবদের এই ভাতৃ হত্যা কে মেনে নেয়নি। ভগবান শিবের দর্শনের জন্য পান্ডব রা কাশী গেলেন , ভগবান শিব কে পেলেন না । পান্ডবরা ভগবান শিব কে খুঁজতে খুঁজতে হিমালয়ে পৌঁছলেন।



 ভগবান শিব পান্ডবদের দর্শন দিতে চায়নি তাই ওখান থেকে অন্তর্ধান হলেন এবং কেদারে চলে আসলেন। দ্বিতীয় দিকে পাণ্ডবরা তাদের উদ্দেশ্যে কঠোর ছিলেন, তাই ভগবান শিব এর পিছু নিতে নিতে  কেদার পৌঁছে গেলেন। তখন ভগবান শিব ষাঁড় এর রূপ ধারণ করলেন এবং এবং পশুদের পালে মিশে গেলেন। পান্ডবদের এই ব্যাপারটা সন্দেহ হয়েছিলো। তখন ভীম বিশাল রূপ ধারণ করলেন  ও দুটো পাহাড়ে পা ফেললেন , তখন  এই সব দেখে সমস্ত গায় গুলো ভীমের পায়ের নিচ দিয়ে বেরিয়ে গেলেন । কিন্তু ষাঁড় রুপি   ভগবান শিব ভীমের পায়ের নিচ দিয়ে যেতে রাজি হলো না।  তখন ভীম তার শক্তি দিয়ে ষাঁড় কে চেপে ধরলেন, কিন্তু কাবু করতে পারছিলেন না , সেই সময়  ভীম ষাঁড় এর পিঠের ভাগ টা ধরে ফেললেন ।

 ভগবান শিব পান্ডব দের ভক্তি ও দৃঢ় সংকল্প দেখে প্রসন্ন হলেন এবং পান্ডবদের পাপ থেকে মুক্তি দিলেন। তখন থেকে এখানে ভগবান শিব ষাঁড় এর পিঠের কুঁজোর  আকৃতি অর্থাৎ পিন্ডর আকৃতি তে পূজিত হন।

এটাও মানা হয়  যে ভগবান শঙ্কর যখন ষাঁড় রূপে অন্তর্ধান হয়েছিলো তখন তার ধরের উপরি ভাগ কাঠমান্ডু তে প্রকট হয়েছিলো। আজ ওখানে পশুপতি নাথের প্রসিদ্ধ মন্দির আছে। ভগবান শিব এর ভূজ তুঙ্গনাথে , মুখ রুদ্রনাথে, নাভি মধ্যেশ্বরে ,আর জটা কল্পেশ্বরে প্রকট হয়েছিলো। এই জন্য এই চার স্থান সহ কেদারনাথ কে পঞ্চকেদার বলে।



কেদারনাথ মন্দিরের গঠন  / Construction of Kedarnath temple

কেদারনাথ মন্দির ৮৫ ফিট উঁচু ও ১৮৭ ফুট চওড়া ও দেয়াল ১২  ফুট মোটা মুজবুত পাথর দিয়ে গঠিত। বর্ষ প্রসিদ্ধ কেদারনাথ মন্দির ৩৪৬২  মিটার উঁচুতে অবস্থিত এবং মন্দিরটি ৬  ফুট উঁচু ভিত এর উপর অবস্থিত ।

সবচেয়ে অবক করার বিষয় হলো এত ভারী পাথর গুলো এত উপড়ে কিভাবে নিয়ে এসে মন্দির নির্মাণ করা হলো। বিশেষজ্ঞদের মতে পাথর গুলো একে ওপরের সাথে জোড়া দেওয়ার জন্য ইন্টারলক প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হয়ে ছিলো।

একদিকে মুজবুত ও অন্য দিকে প্রযুক্তি এই মন্দির কে যুগ যুগ ধরে বাধা বিপত্তি কাটিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে সাহায্য করেছে।

মন্দিরে মুখ্য ভাগে মণ্ডপ এবং গর্ভগৃহ এর চার পাশে রয়েছে প্রদক্ষিণ পত্র। মন্দিরের বাইরে ভগবান শিব বাহন ষাঁড়ের রূপে বিরাজ মান। কেদারনাথ মন্দিরে উপস্থিত দিব্য পঞ্চশশী মুখী কলস ভিতরে তামা ও বাইরে থেকে সোনা দিয়ে বানানো হয়েছিল ,

যা বর্তমান সময়ে মন্দিরে উপস্থিত নেই। কারণ কিছু বছর পূর্বে দিব্য কলসের উপর মানুষের লোভ চেপে বসেছিলো। এখন ওই কলসের জায়গায় পিতল এর কলস বসানো হয়েছে। মন্দিরের প্রাঙ্গণে দ্রপতি সহিত পাঁচ পান্ডব দের মূর্তি বসানো আছে। মন্দিরের গর্ভ গৃহে পাথরের টুকরো ভগবান শিবের মূর্তি সদা পূজিত হয়।



কোন সময় কেদারনাথ মন্দির খোলা হয় ? / When was the Kedarnath temple opened?

কেদারনাথ মন্দিরের দরজা মেষ সংক্রান্তি এর ১৫ দিন আগে অর্থাৎ অক্ষয় তৃতীয়ার দিন  খোলে এবং  অগ্রহায়ণ মাসের সংক্রান্তির কাছে বলরাজের রাতে এখানে পুজো করা হয় ও ভাতৃদ্বিতীয়া অর্থাৎ কার্তিক পূর্ণিমা দিন ভোর ৪ টের সময় , শ্রী কেদার কে  ঘৃত কমল ও কাপড়ের সমাধি সহ কেদারনাথ এর দরজা বন্ধ হয়ে যায়। দরজা বন্ধ এর পর কেদারনাথ এর পঞ্চ মুখী প্রতিমা কে উঁকিমঠ নিয়ে আসা হয় এবং পূজো করা হয়।



কেদারনাথ তীর্থ পুরোহিতরা এই অঞ্চলের প্রাচীন ব্রাহ্মণ, তাদের পূর্বপুরুষরা  নর-নারায়ণের সময় থেকে এই লিঙ্গের পূজা করে আসছেন। পাণ্ডবদের নাতি রাজা জনমেজয় তাদের এই মন্দিরের পূজার অধিকার দিয়েছিলেন এবং তারা তখন থেকেই তীর্থযাত্রীদের পূজা করে আসছেন। কেদারনাথ এর মন্দির সাধারণ জনতার জন্য সকাল ৪ টা থেকে খুলে যায়। দুপুর ৩ টে থেকে ৫ টা পর্যন্ত এখানে বিশেষ পূজো হয়। এবং বিশ্রাম এর জন্য মন্দির বন্ধ হয়ে যায় ।

আবার সন্ধ্যে ৫ টার পর ভক্তদের দর্শনের জন্য মন্দির খুলে দেওয়া হয়। ভগবান শিবের প্রতিমা বিধিবদ্ধ করার পর সন্ধ্যে ৫:৩০ থেকে ৮:৩০ পর্যন্ত প্রতিদিন আরতি করা হয়। এবং  রাত ৮:৩০ পর কেদারনাথ মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হয়।



২০১৩ সালের কেদারনাথ  বন্যা / Kedarnath floods of 2013

জুন ২০১৩ তে উত্তরাখণ্ড হরকা বান এসেছিলো সঙ্গে হয়েছিল প্রবল পাহাড় ধস। এর জন্য সব থেকে প্রভাবিত হয়েছিল কেদারনাথ। এই হরকা বান এর প্রভাব  এতটা ভয়ঙ্কর ছিল যে এর আশেপাশের হোটেল, ধর্মশালা, বাড়িঘর সব বানের জলে ভেসে যায়।   কিন্তু এই ঐতিহাসিক মন্দিরের মূখ্য ভাগ এবং  গম্বুজ সুরক্ষিত ছিলো।

এত বড়ো প্রলয়ের পরও মন্দিরের এই ভাবে দাঁড়িয়ে থাকাটা কোনো আশ্চর্য্যর থেকে কম কিছু নয়। আজও মানুষ  মনে করে এটা  ভগবানের চমৎকার ছাড়া কিছু নয়। বান ও ধসএর ফলে বড় বড় পাথরের টুকরো মন্দিরের দিকে ছুটে আসে এবং ওখানেই থেমে যায়। এর মধ্যে বিশাল এক পাথরের টুকরো আসে এবং মন্দিরের কবজ হয়ে যায়। এই পাথরের টুকরোর জন্য মন্দিরের একটা ইটের ও ক্ষতি হয়নি, এরপর থেকে ওই বিশাল পাথরের টুকরোর নাম ভীম শিলা দেওয়া হয়। এই পাথরের টুকরো মন্দিরের ঠিক পিছনে অবস্থিত।



কেদারনাথ মন্দিরের রহস্য / Mystery of Kedarnath temple

এখানকার বাজে মরসুমের জন্য এই মন্দির এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত খোলা থাকে। কোত্তরী শিলা দিয়ে তৈরি এই পাথরের মন্দির পান্ডব বংশের রাজা জানমেজয় নির্মাণ করেছিলেন।

বৈজ্ঞানিক দের মতে কেদারনাথ মন্দির ৪০০  বছর ধরে বরফে চাপা পড়ে ছিল তবু এই মন্দিরের কিছু হয়নি। এই জন্য ২০১৩  সালে আসা হরকা বানে এই মন্দির সুরক্ষিত থাকা টা , বৈজ্ঞানিক দের কোনো হয়রানির কারণ হয়নি।

 দেরাদুনের Wadia Institute Of Himalayan Geology , ডিপার্টমেন্ট এর বিজ্ঞানী বিজয় জোশি বলেছিলেন। কেদারনাথ মন্দির ৪০০ বছর ধরে বরফে চাপা পড়া সত্বেও মন্দির সুরক্ষিত ছিলো। কিন্তু যখন বরফ সরে যায় তখন বরফ সরে যাওয়ার চিহ্ন মন্দিরে ছিলো। এই চিহ্নর উপড় বিজ্ঞানীকরা গবেষণা করে, তারপর জানাযায় এই মন্দির  ৪০০ বছর ধরে বরফে চাপা ছিলো।

বিজ্ঞানী বিজয় জোশি বলেছিলেন ১৩০০ থেকে ১৭০০ শতাব্দী পর্যন্ত অর্থাৎ এই ৪০০ সাল পর্যন্ত একটা ছোট হিমযুগ এসেছিলো ,

যার ফলে হিমালয় এর একটা বড় অংশ বরফের তলায় চলে গিয়ে ছিলো। প্রথমে মনে করা হতো মন্দির  বরফের মধ্যে আছে , কিন্তু রিসার্স করে জানা গেছে মন্দির বরফে নয় বরং গ্লে-সিয়ার এ চাপা পড়ে ছিলো। বৈজ্ঞানিকদের মতে আজও সেই চিহ্ন মন্দিরের দেওয়াল ও পাথর এ রয়েছে । এই চিহ্ন গুলো গ্লে-সিয়ার এর ঘষাতে তৈরী হয়েছে। গ্লে-সিয়ার সবসময় ভূমি সাথে ঘর্ষণে চলতে থাকে এবং সঙ্গে থাকে গ্লে-সিয়ার এর ওজন ও পাথরের টুকরো । যার ফলে গ্লে-সিয়ার এর সংস্পর্শ এ আসা যে কোনো বস্তু গ্লে-সিয়ার এর সাথে ঘষতে ঘষতে চলতে থাকে।

তাহলে একবার ভাবুন যখন  মন্দির ৪০০ বছর ধরে বরফে চাপা পড়ে ছিলো তখন কিভাবে  গ্লে-সিয়ার এর ভার ও পাথরের ঘর্ষণ থেকে নিজেকে রক্ষা করেছে। মন্দিরের ভিতর এবং বাইরে দেখলে এই ব্যাপার তা বোঝা যায়। মন্দিরে বাইরে পাথরে ঘর্ষণ এর দাগ কিন্তু ভিতরে পাথর একেবারে সমতল, মনে হবে যেন পালিশ করা।

একমত অনুসারে ১০৭৬ থেকে ১০৯৯ পর্যন্ত রাজত্ব করা মালবার রাজা ভোজ  এই মন্দির তৈরী করেছিল । কিছু লোকের মতে এই মন্দির ৮ই শতাব্দী তে আদি শঙ্কর আচার্য্য নির্মাণ করেছিলেন। বলা হয় কেদারনাথ মন্দিরের ঠিক পেছনে  পান্ডব রা একটি মন্দির তৈরি করেছিলো। কিন্তু এই মন্দির সময়ের পরিবর্তন এর সাথে  টিকতে পারেনি। কিন্তু গারোয়াল বিকাশ নিগমের অনুসারে এই মন্দির ৮ই শতাব্দী তে আদি শঙ্কর আচার্য্য নির্মাণ করেছিলেন।  অর্থাৎ ১৩০০ থেকে ১৭০০ শতাব্দী পর্যন্ত অর্থাৎ এই ৪০০ সাল পর্যন্ত যে  ছোট হিমযুগ এসেছিলো, তার আগেই এই মন্দির তৈরি হয়ে গিয়েছিলো।  Wadia Institute এর বিজ্ঞানীরা কেদারনাথ মন্দিরের চারপাশে  লাইকোনোম্যাট্রিক ডেটিং করেছিলেন এই পদ্ধতিতে শৈবাল ও পাথরের বয়স এর অনুমান করা যায়।

এর ফলে জানা যায়  কেদারনাথ এলাকায় গ্লে সিয়ার এর গঠন ১৪০০ শতাব্দীর মাঝা মাঝি শুরু হয়ে ছিলো এবং ১৭৪৮ পর্যন্ত  জারি ছিলো।

জোশি বলেছিলেন লক্ষ বছর আগে চোরা বলি গ্লে সিয়ার সরে যাওয়ার ফলে , কেদার ঘাটি তৈরি হয়। যখন গ্লে সিয়ার সরে যায় তখন ঘর্ষনের ফলে  তার নিচের সমস্ত শিলা ও পাথর কে পিষে দেয় ও বড়ো বড়ো পাথরের টুকরো ফেলে দিয়ে যায়।

জোশি বলেন এই রকম জায়গায় মন্দির বানানো ইঞ্জিনিয়ার এর অদ্ভুত নমুনা। এমন  জায়গায় এমন এক নিরাপদ মন্দির তৈরী করেছিলেন।আজ পর্যন্ত কোনো লোকসান হয়নি। বৈজ্ঞানিক আর কে ডোবাল  এটা মানেন যে এই মন্দির ভীষণ মুজবুত ভাবে তৈরি করা হয়েছিল।সবচেয়ে  হয়রানি করার বিষয় হলো, কিভাবে  এত ভারী ভারী পাথর  কে এত উঁচুতে এনে মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে।

 বৈজ্ঞানিক এর মতে  পাথর কে একে ওপরের সাথে জুড়তে ইন্টার লক প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হয়ে ছিলো। এই জন্য এই মন্দির এক ভূমিকম্পরোধী ইমারত  হিসাবে তৈরী হয়েগিয়েছিল।  এই মজবুত ও প্রযুক্তি  মন্দিরকে নদীর পাশে যুগ যুগ বছর ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে সাহায্য করেছে।


ভারতবর্ষের শিবের  ১২ জ্যোতি লিঙ্গ  /  12 Jyoti Lingas of Shiva in India

1) সোমনাথ মন্দির / somnath mandir ( গুজরাট )
2) Mallickarjuna swami  jyotirlinga  /  মল্লিকার্জুন স্বামী জ্যোতির লিঙ্গ  ( অন্ধ্রপ্রদেশ )
3) Mahakaleswar jyotirlinga / মহাকালেশ্বর জ্যোতির লিঙ্গ  ( মধ্যপ্রদেশ , উজ্জায়ন )
4 )Omkareshwar / ওমকারেশ্বর মন্দির ( মধ্যপ্রদেশ , খন্ড জেলা )
5) kedarnath mandir / কেদারনাথ মন্দির ( উত্তরাখণ্ড )
6 ) Bhimashankar   / ভিমশঙ্কর মন্দির ( মহারাষ্ট্র )
7 ) kashi vishwanath mandir / কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ( বারানসি , উত্তরপ্রদেশ )
8 ) Trimbakeshwar  shiv mandir / ত্রিম্বাকেশ্বর শিব মন্দির ( নাসিক , মহারাষ্ট্র )
9 ) Baidyanath Temple / বৈদ্যনাথ মন্দির ( দেওঘর , ঝাড় খন্ড )
10) nageshwar Jyotirlinga / নাগেশ্বর জ্যোতির লিঙ্গ ( গুজরাট )
11) Rameshwar jyotirlinga / রামেশ্বর মন্দির ( রামেশ্বরম  তামিল নাড়ু )
12) Ghrishneswar Mandir / ঘৃনেশ্বর মন্দির ( মহারাষ্ট্র )

পঞ্চকেদার  কি ? / What is Panchkedar?

পঞ্চ কেদার বলতে আমরা বুঝি কেদারনাথ, তুঙ্গনাথ, রুদ্রনাথ, মধ্যমহেশ্বর ও কল্পেশ্বর। এই সবকটি শিবধাম গাড়োয়াল হিমালয়েই পাওয়া যাবে। এই পঞ্চ কেদার দর্শন করতে যাঁরা উৎসাহী তাঁদের জন্য সামান্য কিছু সুলুক সন্ধান এখানে দিয়ে দিচ্ছি।

কেদারনাথ / Kedarnath  (উচ্চতা ৩৫৮৩ মিটার)

 কেদারনাথ সম্বন্ধে জানেন না এমন বাঙালি কম পাওয়া যাবে। তবু বলি কেদারনাথ যেতে হলে আপনাকে শোন প্রয়াগের আশেপাশে রাত কাটিয়ে সকাল সকাল গৌরিকুণ্ড গিয়ে ওখান থেকে ১৮ কিলোমিটার ট্রেক করে কেদারনাথ ধামে পৌঁছাতে হবে। একজন সক্ষম সাধারণ মানুষের এই ট্রেক করতে ৭/৮ ঘন্টা লেগে যাবে। ট্রেক করতে না চাইলে ঘোড়া ও ডোলি পাওয়া যায়। এমনকি চাইলে শোন প্রয়াগের কাছাকাছি সেরসি বা ফাটা হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারেও কেদারনাথ যেতে পারেন। কেদারনাথে বেশ কিছু থাকার জায়গা আছে। আমার পছন্দ GMVN গেস্টহাউস।



তুঙ্গনাথ  /  Tungnath ( উচ্চতা ৩৬৮০ মিটার )

 তুঙ্গনাথ যেতে হলে আপনাকে চোপতায় চলে আসতে হবে। কেদারনাথ দেখে ফেরার পথে শোন প্রয়াগ, উখিমঠ হয়ে চলে আসুন চোপতা। দূরত্ব ৭০/৭৫ কিলোমিটার হবে। চোপতায় থাকার জন্য বেশ কিছু হোটেল পেয়ে যাবেন। চোপতা থেকে মাত্র চার কিলোমিটার ট্রেক করেই তুঙ্গনাথ মন্দিরে পৌঁছে যাবেন। তুঙ্গনাথের উচ্চতা কেদারনাথের চেয়েও বেশি। কিন্তু পৌঁছাতে কষ্ট কম। ট্রেক রুট থেকেই দেখতে পাবেন নন্দাদেবী, চৌখাম্বা ও নীলকন্ঠ পর্বতকে।

রুদ্রনাথ  / Rudranath ( উচ্চতা ২২৬৬ মিটার )

রুদ্রনাথ যেতে হলে চোপতা থেকে চলে যান গোপেস্বর। দূরত্ব ৪০/৪২ কিলোমিটার। ওখান থেকে আরো ৫ কিলোমিটার গাড়িতে গিয়ে পৌঁছাতে হবে সাগর গ্রামে। সাগর থেকে মোটামুটি ২০ কিলোমিটার ট্রেক করে রুদ্রনাথ পৌঁছে যাবেন। এই ২০ কিলোমিটার ট্রেক রুটটি চলে গেছে আল্পাইন তৃণভূমি ও রোডোডেনড্রন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে। রুদ্রনাথ মন্দিরটি প্রাকৃতিক শিলায় তৈরি। এখানে শিব “নীলকন্ঠ মহাদেব” হিসেবে পূজিত হন। মন্দিরের আশেপাশে পেয়ে যাবেন সূর্য কুণ্ড, চন্দ্র কুণ্ড, তারা কুণ্ড ও সরস্বতী তাল।

মধ্যমহেশ্বর / Madhyamaheshwar Mandir (উচ্চতা৩২৯০ মিটার)

 মধ্যমহেশ্বর বা মদমহেস্বরে যেতে হলে আপনাকে আবার গোপেস্বর থেকে উখিমঠে ফিরে আসবে হবে। দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। উখিমঠ থেকে গাড়িতেই ১৮ কিলোমিটার দূরে উনিয়ানা গ্রামে পৌঁছাতে হবে। এই উনিয়ানা গ্রাম থেকে রানসি, গোন্ধার হয়ে ১৯ কিলোমিটার ট্রেক করে পৌঁছাতে হবে মধ্যমহেশ্বর ধামে। পথে রানসি ও গোন্ধারে থাকা খাওয়ার জায়গা পাওয়া যায়। এই মধ্যমহেশ্বর মন্দিরটি একটি সুন্দর সবুজ উপত্যকার মাঝে মনসুনা গ্রামে অবস্থিত। একে ঘিরে আছে বরফাবৃত কেদারনাথ, চৌখাম্বা ও নীলকন্ঠ পর্বত।

কল্পেশ্বর / Kalpeshwar ( উচ্চতা২২০০ মিটার )

পঞ্চ কেদারের মধ্যে খুব সহজেই পৌঁছানো যায় এই কেদার ধামে। এটি সারা বছর দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। অন্য কেদারগুলো যখন শীতের সময় বন্ধ থাকে তখনও এটি খোলা থাকে। মধ্যমহেশ্বর দেখে উখিমঠে ফিরে এসে এবার চলুন রুদ্রপ্রয়াগ, কর্ণপ্রয়াগ, নন্দপ্রয়াগ হয়ে হেলাঙ্গ (জোশিমঠের কিছু আগে)। দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। এখান থেকে বাঁদিকের রাস্তা ধরে অলকানন্দা ব্রিজ পেরিয়ে চলে যেতে হবে উর্গাম গ্রামে। উর্গাম থেকে মাত্র দু তিন কিলোমিটার ট্রেক করেই কল্পেশ্বরে পৌঁছে যাবেন।

এই পঞ্চ কেদার দর্শন করতে হলে আপনাকে শারীরিক ভাবে সক্ষম হতেই হবে কারণ বেশ কয়েকটি লম্বা ট্রেক এই যাত্রায় আপনাকে করতে হবে। যাঁরা হৃদরোগী, শ্বাসকষ্টে ভোগেন বা যাঁদের হাই সুগার, তাঁরা এই যাত্রায় বেরুবার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন। বয়স কিন্তু কোনো ব্যাপার নয় যদি আপনি সুস্থ-সবল আছেন।

কেদারনাথ যাত্রা কখন করবেন ? / which is the best time to visit kedarnath ?

৬-৭ মাসের জন্য কেদারনাথ এর দরজা খোলা হয়। এপ্রিল থেকে মে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন কেদারনাথ মন্দিরের দরজা খোলা হয়। এবং অক্টোবর থেকে নভেম্বর এর মধ্যে কার্তিক পূর্ণিমার দিন কেদারনাথ মন্দির এর দরজা বন্ধ হয়। এই সময় এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো সময় হলো সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর । এই সময় এখানে একটু বেশি ঠান্ডা পড়ে ঠিকই কিন্তু এটা পিক সিসন নয়। অর্থাৎ এই সময় আপনার খরচ ও কম হবে এবং ভিড়ভট্টাও কম পাবেন । মে – জুন মাস পর্যন্ত প্রচন্ড ভিড় হয় কারণ সেই সময় গরমের ছুটি থাকে। আর জুলাই – আগস্ট হলো বর্ষার মরসুম এবং এই সময় টা এড়িয়ে চলা ভালো।  এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই সময়  হোটেল এর ভাড়া ও খাওয়ার চার্জ দ্বিগুণ থেকে ত্রিগুন হয়ে যায় , কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর  এর মধ্যে গেলে সঠিক দামে সবকিছু পেয়ে যাবেন।

কেদারনাথ ভ্রমণ খরচ  / Travel Expenses to Kedarnath

এই  কেদারনাথ মন্দির দর্শন করার জন্য বিভিন্ন সময়ে খরচ বিভিন্ন হয়। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত খরচ প্রায় ১০০০০ থেকে ২০০০০ পর্যন্ত ( জন প্রতি )। সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর  এর মধ্যে গেলে খরচ ৭০০০ থেকে ১৬০০০ পর্যন্ত  ( জন প্রতি ) .

কেদারনাথ মন্দির ভ্রমণ গাইড  ( কলকাতা থেকে কেদারনাথ ) / Kedarnath Temple Travel Guide (Kolkata to Kedarnath)

 প্রথম পর্ব ( কোলকাতা  থেকে  দেরাদুন  বা হরিদ্বার বা ঋষিকেশ  )

ট্রেনে যাত্রা / Train ride

1)Kolkata ( HWH)   to  Dehradun ( DDN )      (  ১৫৪১ কিমি ৩৫ ঘন্টা )

2)Kolkata ( HWH)    to  Haridwar  (HW   )       (  ১৫০০ কিমি ৩০ ঘন্টা )

3)Kolkata ( HWH)    to  Rishikesh (RKSH )       (  ১৫১৫  কিমি ৩১ ঘন্টা )

প্রথমে ট্রেনে  কোলকাতা  থেকে  দেরাদুন  বা হরিদ্বার বা ঋষিকেশে  আসতে  পারেন । এবং কেদারনাথ মন্দির দর্শন করার জন্য,  হাওড়া থেকে হরিদ্বার বা দেরাদুন সরাসরি ট্রেন পেয়ে যাবেন  ।

হাওড়া থেকে হরিদ্বার বা দেরাদুন  সরাসরি ট্রেন এর লিস্ট

১)  ( 03151 ) Kolkata – Jammu Tawi Special

২) ( 02369 ) Kumbha Special Fare Special

৩) ( 02327 )Upasana Special Fare Special

৪) ( 03005 )Howrah – Amritsar Mail Special

৫) ( 03009 )Doon Special Fare Special

যদি কলকাতা থেকে ঋষিকেশ যাওয়ার জন্য সরাসরি ট্রেন পাবেন না কিন্তু

হরিদ্বার স্টেশনে  নেমে , ঋষিকেশের জন্য বাস ,ট্যাক্সি , প্রাইভেট গাড়ি, অটো ইত্যাদি পেয়ে যাবেন। বাস প্রায়  ৪৫  মিনিট সময় নেবে, ট্যাক্সি আপনাকে প্রায় আধা ঘন্টার মধ্যে ঋষিকেশে নিয়ে যাবে।

আপনি মনে করলে হাওড়া স্টেশন থেকে সরাসরি দিল্লী ট্রেন পেয়ে যাবেন এবং দিল্লী স্টেশন থেকে সরাসরি হরিদ্বার বা ঋষিকেশ এর জন্য ট্রেন পেয়ে যাবেন । এছাড়াও আপনি হাওড়া স্টেশন থেকে সরাসরি দেরাদূন  ট্রেন পেয়ে যাবেন এবং দেরাদূন  স্টেশন থেকে সরাসরি হরিদ্বার বা ঋষিকেশ এর জন্য ট্রেন পেয়ে যাবেন

  বিমানে  যাত্রা /Air travel

 কেদারনাথ মন্দির দর্শন করার জন্য সবচেয়ে কাছের বিমান বন্দর  টি হলো দেরাদুনের জলি গ্রান্ট বিমানবন্দর ( DED ) । এছাড়া বিমানে গেলে আপনাকে যেতে  হবে কোলকাতা বিমান বন্দর (CCU ) থেকে দেরাদুন বিমান বন্দর ( DED ) .

দেরাদুন বিমান বন্দর থেকে  ঋষিকেশ বা হরিদ্বার  এর জন্য ক্যাব বা বাস পেয়ে যাবেন ,  ক্যাব  ভাড়া ৮০০ টাকা। এবং বাস ভাড়া ১০০ টাকার মধ্যে । কিন্তু অনলাইন এ বুক করলে খরচ অনেক বেশি ।

এছাড়া দিল্লী হয়ে হরিদ্বার বা ঋষিকেশ  গেলে , প্রথমে বিমানে আসতে হবে দিল্লী।  তারপর দিল্লী থেকে ক্যাব অথবা বাসে করে আসতে  হবে হরিদ্বার বা ঋষিকেশ  । এছাড়াও অনলাইনে থেকে আউট স্টেশন  OLA  অথবা Uber  পেয়ে যাবেন।

দিল্লী থেকে হরিদ্বার দূরুত্ব  ২৪৫ কিমি এবং ঋষিকেশের দূরুত্ব ২৭০ কিমি ,যেতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা । দিল্লী থেকে হরিদ্বার বা ঋষিকেশর এর ক্যাব ভাড়া ৪০০০ টাকা । এবং দিল্লী থেকে  ঋষিকেশের বাস  ভাড়া ৮০০ টাকা ( দিল্লী কাশ্মীর গেট থেকে ) এছাড়াও দিল্লী থেকে makemytrip  , redbus  , Intrcity ,yatra ইত্যাদি  থেকে বাস বুক করতে পারেন।

স্ব- ড্রাইভ বা ক্যাব / Self-drive or cab

কলকাতা থেকে হরিদ্বার বা ঋষিকেশ  সরাসরি বাইক বা ক্যাব  নিয়ে যেতে পারবেন।

  • কলকাতা থেকে হরিদ্বার বা ঋষিকেশ বা দেরাদুন , যেখানে যান না কেন স্টেশন বা এয়ারপোর্ট সংলগ্ন থাকার জন্য প্রচুর হোটেল পেয়ে যাবেন।

এছাড়া প্রাইভেট  হোটেল   makemytrip  ,   OYO  , Booking.Com , goibibo এই ওয়েব সাইট থেকে বুকিং করতে পারেন । এছাড়া সরকারি হোটেল পেতে  https://gmvnonline.com/  এই ওয়েব সাইট এ ক্লিক করুন ।

********** এরপর একরাত বিশ্রাম , কারণ পরদিন সকালে আমাদের সোনপ্রয়াগ এর উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে।

দ্বিতীয় পর্ব (দেরাদুন বা হরিদ্বার বা ঋষিকেশ থেকে সোনপ্রয়াগ এর উদ্দেশ্যে যাত্রা )

হরিদ্বারের থেকে সোনপ্রয়াগ এর দুরুত্ব  ২৩৩  কিমি ( সময় ৬ – ৭ ঘন্টা )

ঋষিকেশ থেকে সোনপ্রয়াগ  এর দুরুত্ব   ২১০   কিমি (সময় 6 ঘন্টা ৩০ মিমিট )

দেরাদুন থেকে সোনপ্রয়াগ   এর দুরুত্ব   ২৪৭    কিমি ( সময় প্রায়  ৭ ঘন্টা )

আপনি দেরাদুন বা হরিদ্বার বা ঋষিকেশ থেকে সোনপ্রয়াগে আসতে হলে ক্যাব  অথবা বাস বুক করতে হবে । কেদারনাথ মন্দির দর্শন করতে দেরাদুন বা হরিদ্বার বা ঋষিকেশ  থেকে বাস অথবা ক্যাবে যাত্রা সোনপ্রয়াগে শেষ হবে।

বাসে যাত্রা /Bus ride

দেরাদুন বা হরিদ্বার বা ঋষিকেশ স্টেশন এর পাশে প্রচুর বাস বুকিং কাউন্টার রয়েছে বা বাস স্টপেজ রয়েছে সেখান থেকে  সোনপ্রয়াগ এর উদ্দেশ্যে বাস পেয়ে যাবেন । বাস ভাড়া ৩৫০ – ৬০০ টাকা  তবে অনলাইন বুকিং করলে খরচ টা একটু বেশি পড়বে।GMVN এর ওয়েবসাইট থেকে বাস বুকিং করতে পারেন।

ক্যাবে যাত্রা / Cab ride

দেরাদুন বা হরিদ্বার বা ঋষিকেশ থেকে ক্যাব পেয়ে যাবেন সরাসরি সোনপ্রয়াগ এর জন্য । ক্যাব ভাড়া ৪০০০ – ৬০০০ টাকা । তবে ক্যাব একেবারে রিসার্ভ করে  নিতে পারেন।  আপ ও  ডাউন ১০০০০ টাকার মধ্যে  যাবে।  অর্থাৎ সোনপ্রয়াগ  যাবেন সোনপ্রয়াগ এর  পার্কিং লটে  গাড়ি একদিন স্টে করবে এবং ফেরার সময় দেরাদুন বা হরিদ্বার বা ঋষিকেশে  ফেরৎ নিয়ে আসবে। পার্কিং লটের  ভাড়া ১০০/-( প্রতিদিন )।

৬ থেকে ৮ ঘন্টা যাত্রা করার পর শরীরে ক্লান্তি  আসবে তখন সোনপ্রয়াগে  বিশ্রাম নেওয়া খুব জরুরী কারণ পরদিন ভোরবেলা আমরা সোনপ্রয়াগ থেকে গৌরীকুন্ড এবং গৌরীকুন্ড থেকে কেদারনাথ এর উদ্দেশ্যে  যাত্রা করবো।

সোনপ্রয়াগে কোথায় থাকবেন ? এবং থাকার খরচ কত ? / Where will you stay in Sonprayag? And how much does it cost to stay?

সোনপ্রয়াগে  হোটেল ভাড়া ৮০০ – ১৫০০ ( প্রতি রাত ) টাকার মধ্যে তবে অফ সিজন ( সেপ্টেম্বর – অক্টোবর ) কিছু দামদর করতে পারবেন কিন্তু সিজন ( এপ্রিল – অগাস্ট ) এ গেলে এই হোটেল গুলোর ভাড়া ২০০০ – ২৫০০ ( প্রতি রাত ) টাকা দাবি করে। এছাড়া এখানে ডরমেটরি পাবেন ৩৫০/-( প্রতি ব্যাক্তি, প্রতি রাত )  টাকা থেকে শুরু এবং বাজেট খুব কম থাকলে হল রুম ব্যবহার করতে পারেন ,ভাড়া জন প্রতি ১০০ টাকা ( প্রতি ব্যাক্তি, প্রতি রাত ) ।

সোনপ্রয়াগে খাবারের খরচ কেমন ? /What is the cost of food in Sonprayag?

  সোনপ্রয়াগে খাবারের খরচ তুলনামুলুক একটু বেশি।  খরচ ৩০০ – ৪০০ টাকা প্রতিদিন

সোনপ্রয়াগের কিছু  হোটেল /গেস্ট হাউস / লজ –

1) Sharma Ji Hotel  2)  Devdarshan Hotel and Guest House +919911378738   3)  Shivalik Valley Resorts +919318803777    4) Hotel JPG Palace  +919412364789   5) Abhishek Hotel +917827720186   6) Kedar River Retreat +918265830866  7) Hotel Rama Palace +919639566674  8) Hotel Dev Dham +919759290329 9) Hotel New Basera +917827720186  10) Ghughuti Resort

প্রাইভেট  হোটেল   makemytrip  ,   OYO  , Booking.Com , goibibo এই ওয়েব সাইট থেকে বুকিং করতে পারেন । এছাড়া সরকারি হোটেল পেতে  https://gmvnonline.com/  এই ওয়েব সাইট এ ক্লিক করুন  ।

 ****** সোনপ্রয়াগে এক রাত বিশ্রাম

( আপনি মনে করলে সোনপ্রয়াগে  না থেকে সরাসরি গৌরীকুন্ড থাকতে পারতেন ,তবে খরচ তা অনেক বেশি  হতো।  গৌরী কুন্ড এ হোটেল ভাড়া সোনপ্রয়াগ  থেকে অনেকটা  বেশি )

তৃতীয় পর্ব ( সোনপ্রয়াগ থেকে গৌরীকুন্ড ও কেদারনাথ মন্দির দর্শন )

সোনপ্রয়াগ থেকে গৌরীকুন্ড যাওয়ার আগে আর একটা গুরুত্ব বিষয় যেটা মনে রাখা দরকার ,সেটা হলো বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন।  এই বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন ছাড়া আপনাকে কেদারনাথ মন্দির দর্শন করার অনুমতি দেওয়া হবে না।

বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন কিভাবে করবেন ? / How to apply biometric registration?

গৌরিকুন্ড বা সোনপ্রয়াগে  বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন এর কাউন্টার পেয়ে যাবেন তবে পিক সীজন এ আপনাকে দেড় থেকে দুই ঘন্টা লাইন এ দাড়াতে হবে।  কিন্তু আপনি আগে থেকে  GMVN এর ওয়েবসাইট এ  রেজিস্ট্রেশন করে রাখতে  পারেন।  এর জন্য জরুরি হলো ফটো আইডেন্টটি প্রুফ  ও  পাসফোর্ট সাইজ ফটো ।

সোনপ্রয়াগ থেকে গৌরীকুন্ড কিভাবে যাবেন ? /How to reach Gaurikund from Sonprayag?

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়ুন । সাথে আপনাদের প্রাইভেট গাড়ি থাকলে পার্কিংলটে রেখে দিন ভাড়া পড়বে ১০০ টাকা প্রতিদিন। সোনপ্রয়াগ থেকে গৌরীকুন্ড দুরুত্ব ৫ কিমি যেতে সময় লাগে ২৫ মিনিট। সোনপ্রয়াগ থেকে গৌরীকুন্ড যাওয়ার জন্য আপনাকে ভাড়া করতে হবে স্পেশাল বুলেরো গাড়ি ,ভাড়া  জন প্রতি ৩৫ টাকা।  বুলেরো গাড়ি ,ভাড়ার জন্য পিক সিজন এ লম্বা লাইন পড়ে  সময় লাগে ১ থেকে ১ঘন্টা ৩০ মিনিট।  কিন্তু অফ সিজন এ সময় লাগে ৩০ মিনিট।

গৌরীকুন্ডে কোথায় থাকবেন ? / Where will you stay in Gaurikund?

অনেকে কেদারনাথ মন্দির দর্শনের আগে গৌরী কুন্ডে স্টে করে। কারণ সোনপ্রয়াগ থেকে গৌরীকুণ্ডে আসার ঝামেলা টা আগের থেকে মেটাতে চায়। কিন্তু গৌরীকুণ্ডে হোটেল খরচ তুলনামূলক অনেক তা বেশি। অনেক কম রেঞ্জের হোটেল ও পাবেন। তাদের মধ্যে কিছু হোটেলের নাম দেওয়া হলো 1) ANCHAL GUEST HOUSE ( PH- 9997928077) 2) HOTEL MOUNTAIN VIEW (PH- 9410507618) 3) KEDAR CAMP RESORT (PH- 9720530262) 4) HIMALAYAN CAMPING AND TREKKING (PH-9873087265) 5) KEDAR VALLEY RESORT ( 7055425555) . এছাড়া অনলাইন এ GMVN সাইট থেকে সরকারি হোটেল ও প্রাইভেট  হোটেল   makemytrip  ,   OYO  , Booking.Com , goibibo এই ওয়েব সাইট থেকে বুকিং করতে পারেন .

গৌরীকুন্ডে  কি দেখার আছে  ? / What to see in Gaurikunda?

গৌরীকুন্ডে আছে গৌরীমাতা বা পার্বতী মাতার মন্দির এবং গরম জলের কুন্ড আছে। আর রয়েছে মন্দাকিনী নদী। আপনি মনে করলে  কেদারনাথ মন্দির দর্শনের আগে ওই গরম জলে  স্নান করে নিতে পারেন।

গৌরীকুন্ড থেকে কেদারনাথ মন্দির কিভাবে যাবেন ? / How to reach Kedarnath temple from Gaurikund?

গৌরী কুন্ড থেকে কেদারনাথ মন্দির যাওয়া  যায়  চারটি  উপায়ে ১) ট্ৰেকিং বা পায়ে হেটে    ২) ডুলি বা পিট্ঠু বা পালকি  ৩)ঘোড়া বা খচ্ছর  ৪) হেলিকপ্টার

ট্ৰেকিং / Trekking

 গৌরীকুন্ড থেকে কেদারনাথ মন্দিরের দুরুত্ব ১৬ কিমি ,যেতে সময় লাগে  ৮ – ৯ ঘন্টা।

এই ট্রেকিং টি হলো কেদারনাথে যাওয়ার সবচেয়ে কঠিন উপায়। কারণ পায়ে হেটে খাড়া ১৬ কিমি পথ।  আপনার যত লাগেজ আছে সোনপ্রয়াগ বা গৌরীকুন্ড এর ক্লক রুমে  রেখে আসুন , নূন্যতম কিছু প্রয়োজনীয়  জিনিস নিয়ে ট্রেকিং করুন।  যদি মনে করেন লাগেজ নিয়ে ট্রেকিং করবো সেক্ষেত্রে  লাগেজ নিয়ে উপড়ে যাওয়ার জন্য একজন পিটঠু র সাহায্য নিতে পারেন তবে ভাড়া পড়বে  ৩০০০- ৫০০০ টাকা (যাওয়া ও আসা রিটার্ন  ) ।

শুধু তাই নয় , পিটঠু ব্যাক্তির খাওয়া ও থাকার খরচ আপনাকে দিতে হবে।  যত ভারী লাগেজ ভাড়া তত বেশী।  ট্রেকিং করতে সঙ্গে জল রাখুন আর রাখুন চকলেট যা আপনাকে ভরপুর এনার্জি দেবে।  রাস্তায় যেতে যেতে পাবেন খাবার দোকান ,রেস্তোরা , বিশ্রামের জায়গা ,টয়লেট ,ছৌচাগাড়,  wifi জোন ও  GMVN গেস্ট হাউস । আপনি যখন ট্রেকিং করে  রিটার্ন করবেন তখন আপনার সময় লাগবে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা। এই যাত্রার আপনার সবসময় পাশে থাকবে মন্দাকিনী নদী। চারিদিকের অপূর্ব দৃশ্য আপনার মন ভোলাতে বাধ্য করবে। কমেন্ট বক্সে অবশ্যই লিখবেন বাবা কেদারকি জয় 

ডুলি বা পিট্ঠু বা পালকি /Travel by palanquin

ডুলি বা পিট্ঠু বা পালকির খরচ ওজন অনুযায়ী হয় । এরা  আপনাকে ৫০০০ থেকে ১২০০০ টাকা পর্যন্ত চার্জ করতে পারে।  অবশ্যই  আসা ও যাওয়া রিটার্ন । শুধু তাই নয় , পিটঠু ব্যাক্তির খাওয়া ও থাকার খরচ আপনাকে দিতে হবে।

ঘোড়া বা খচ্ছর  / Travel by Horse

সোনপ্রয়াগ  বা গৌরীকুন্ড থেকে ঘোড়া বা খচ্ছর  পেয়ে  যাবেন। সোনপ্রয়াগ থেকে খরচ ২৬০০ টাকা আর গৌরীকুন্ড থেকে খরচ ২৪০০ টাকা। আপনি রাস্তায় যেতে যেতে অনেক জায়গা থেকে ঘোড়া বা খচ্ছর পেয়ে যাবেন।

হেলিকপ্টার /travel by helicopter

হেলিকপ্টারে কেদারনাথ মন্দির দর্শন এক বিশেষ অনুভূতি  । বর্তমানে কেদারনাথ যাত্রার জন্য হেলিকপ্টার পরিসেবা  সুলভ মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।  গুপ্ত কাশী ( Guptkashi )  , পাটা ( Phata ) ,  সরসী (Sersi ) ,সীতাপুর ( Sitapur ) ,ও সোনপ্রয়াগ ( Sonprayag ) ইত্যাদি জায়গা থেকে হেলিকপ্টার বুকিং করা যাচ্ছে ।  হেলিকপ্টার এর রাউন্ড ট্রিপের জন্য আপনাকে দিতে হবে ৪৪৫০ – ৮০০০ টাকা। হেলিকপ্টার নিদিষ্ট সময়ে পৌছে দেবে এবং নিদিষ্ট সময়ে আপনাকে নিয়ে আসবে।

হেলিকপ্টার বুকিং করার জন্য প্রতিটি হেলিপ্যাডের পাশে কাউন্টার আছে তবে আপনি ওয়েবসাইটে থেকে বুকিং করে নিতে পারেন। আমার মতে যদি আপনি হেলিকপ্টার এ যেতে চান তবে আগের থেকে বুকিং করা টা  সবচেয়ে ভালো হবে।  কারণ পিক সিজিন এ হেলিকপ্টার বুকিং পাওয়া  খুবই দুস্কর।

কেদারনাথ মন্দিরে পূজো দেওয়া ও আরতির সময় কখন ? Kedarnath Temple Pooja and Aarti Timing.

মন্দির প্রতিদিন সকাল 04:00 থেকে রাত 09:00 পর্যন্ত খোলা থাকে । বিকাল 03:00 থেকে বিকেল 05:00 এর মধ্যে ( মধ্যাহ্নভোজে ) দর্শনে বিরতি দেওয়া হয় । তারপর ৫ টায় খোলে, সন্ধ্যায় আরতি শুরু হয় । এর পরে ৯ টার পর মন্দির বন্ধ হয়ে যায়।

ভোর ৪ টে থেকে পূজার বিশাল  লাইন পরে যায়। যদি আপনি পিক সিজেন এ কেদারনাথ মন্দির আসছেন তাহলে পূজো  দিতে সময় লাগবে ৩- ৪ ঘন্টা এবং অফ সিজেন এ আসলে ১- ১:৩০ ঘন্টার মধ্যে পুজো ও কেদারনাথ বাবার দর্শন হয়ে যাবে।  মন্দিরে প্রবেশে কোনো এন্ট্রি ফ্রি নেই  তবে VIP ভাবে দর্শন করতে চাইলে এন্ট্রি ফ্রি ২৫০০ টাকা লাগবে। এছাড়া এখানে ১০০,২০০,৩০০ টাকার মধ্যে প্রসাদ প্যাকেট নিতে পারেন। সুন্দর বাবে কেদারবাবা কে দর্শন করুন আর কমেন্ট বক্সে লিখুন জয় বাবা কেদার।

কেদারনাথে হোটেল পরিসেবা  ও খরচ  কেমন ? / How is the hotel service and cost in Kedarnath?

যদি আপনি পিক সিজেন এ আসেন তবে হোটেল পেতে কিছু সমস্যা হবে।  এর জন্য  দুই মাস আগের থেকে অনলাইনে  বুকিং  করে রাখতে হবে।  কেদারনাথ মন্দিরের ঠিক ১ কিমি আগে রয়েছে কেদারনাথ বেস ক্যাম্প।  এই ক্যাম্পে থাকার জায়গা, খাবার জায়গা ও চিকিৎসার যথেষ্ট ব্যাবস্থা রয়েছে। 

এখানে থাকার জন্য GMVN  এর হোটেল , গেস্ট হাউস , হাট , টেন্ট পেয়ে যাবেন। GMVN এর ওয়েবসাইট থেকে এইগুলি বুকিং করে নিতে পারেন।

এখানে Tent  এর খরচ প্রায় ৩০০-৪০০ টাকা প্রতি ব্যাক্তি প্রতিদিন। এটাচ টয়লেট পাবেন না ,কমন টয়লেট পাবেন। এছাড়া এখানে hut  পাবেন যার খরচ ৭৫০-৮৫০  টাকা  প্রতি ব্যাক্তি প্রতিদিন। এটাচ টয়লেট পাবেন না ,কমন টয়লেট পাবেন। আর আছে Hut House পাবেন যার খরচ ৯৫০-১০৫০ টাকা  প্রতি ব্যাক্তি প্রতিদিন। এটাচ টয়লেট পাবেন । এগুলি হলো সরকারি ব্যবস্থা।

এছাড়া আপনি কেদারনাথ মন্দির সংলগ্ন এবং আশেপাশে প্রচুর হোটেল পাবেন যার খরচ পিক সিজেন এ  ৯০০- ২০০০ পর্যন্ত  প্রতি ব্যাক্তি প্রতিদিন, অফ সিজেনে খরচ ৫০০- ১১০০ পর্যন্ত  প্রতি ব্যাক্তি প্রতিদিন।

কেদারনাথে কিছু হোটেল এর নাম ও ফোন নাম্বার দেওয়া হলো। / Names and phone numbers of some hotels in Kedarnath were given. 

 1) BEHL ASHRAM ( 9650413216 )  2) GAYATRI BHAWAN ( 9456332248) 3) HOTEL HIMACHAL HOUSE ( 9412356025) 4)SURYA SADAN ( 9634794599) 5)PANJAB SINDH AWAS ( 9412915221) 6) HOTEL NEW BASERA ( 7827720186 )  7) Mathura House Kedarnath  ( +919305926456) 8) Rajasthan Seva Sadan  9) Bharat Sevashram Sangh – Kedarnath 10) DARRAMEKS RESORT   11) Agra Bhawan  12) Tiwari Hotel & Restaurant 13)     Kedarnath Meerut Mandal and Mewar Sadan  

 এই সব হোটেল গুলিতে ফোন করে আপনি সমস্ত তথ্য জেনে নিতে পারেন।

কেদারনাথে  খাবার খরচ  কেমন ? /What is the cost of food in Kedarnath ?

এখানে খাবারের খরচ তুলনামূলক অনেকটা বেশী।  কেদারনাথ মন্দিরের আসে পশে প্রচুর রেস্টুরেন্ট  আছে। খরচ প্রতিদিন ৫০০ -৬০০ টাকার মধ্যে। GMVN এর নিজস্ব  অন্নপূর্ণা রেস্টুরেন্ট আছে সেখানে চা ৩০ টাকা , ব্রেক ফাস্ট ১০০ টাকা , লাঞ্চ খালি ২০০ টাকা , ডিনার খালি ২০০ টাকা। 

কেদারনাথ মন্দিরের সাইট সিন্ কি দেখবেন ? /What is the sightseeing of Kedarnath temple?

 ১)   শ্রী ভৈরবনাথ মন্দির ,  কেদারনাথ মন্দির থেকে মাত্র ০.৫ কিমি দূরে অবস্থিত

২) বাসুকি তাল , কেদারনাথ মন্দির থেকে মাত্র ৬- ৭  কিমি দূরে অবস্থিত ( ট্রেকিং করে যেতে হবে )

৩) গান্ধী সরোবর কেদারনাথ মন্দির থেকে মাত্র ৩  কিমি দূরে অবস্থিত।

এই সমস্ত সাইট সিন্ দেখতে হলে কেদারনাথে আপনাকে আরো ২- ৩ দিন বেশি থাকতে হবে। 



আশা করি আপনাদের সমস্ত তথ্য দিয়ে কেদারনাথ মন্দির ভ্রমণ / কেদারনাথ যাত্রা তে  সাহায্য করতে পারলাম । আমাদের পেজ টি কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ।

No comments

Powered by Blogger.